আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ চায় বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সরকার নির্বাচিত করুক। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার করা হবে।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে আগত দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরামে’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ১০৮টি সংগঠন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। এর মধ্যে ৫১টি সংগঠনের মোর্চা হচ্ছে ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’। তারাও চায় বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক। এই ফোরাম গত নির্বাচনও মনিটর করেছে আগামী নির্বাচনেও মনিটরিং দল পাঠাবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ফোরামকে জানিয়েছি- বিশ্বের সব সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়, আমাদের দেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে।
নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন তারা বর্জন করে গণতন্ত্রকেই প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৮ সালে বিরাট মোর্চা ঐক্য করে বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৬টি আসন। এজন্য তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পেয়ে হাঁটা (পদযাত্রা) শুরু করেছে। দেখা যাক তারা ক’বছর হাঁটতে পারে।
বৈঠকে অংশ নেন- আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী, জার্মানির সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভলকার ইউ. ফ্রেডরিচ, ভুটানের গ্লোবাল ভিলেজ কানেকশনের চেয়ারম্যান জ্যাকসন দুকপা, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বুয়েটের উপ-উপাচার্য ও ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান ও কৃষিবিদ ড. আজাদুল হক।
Leave a Reply