বরগুনা প্রতিনিধি,
বরগুনার বিষখালী নদীর তীরে অবৈধ কয়লা তৈরির চুল্লির ধোঁয়ায় কারণে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। প্রশাসনের অভিযানেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সমাধান। শুধু জরিমানা দিয়েই বেঁচে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। সচেতন মহল বলছেন, এর বিরুদ্ধে দ্রুতই পদক্ষেপ না নিলে হুমকিতে পড়বে উপকূলীয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
জানা যায়, চুল্লিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ সামাজিক ও সংরক্ষিত বনের কাঠ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে বনায়ন। ছোট বড় সব মিলিয়ে ৩০-৪০টি অবৈধ চুল্লি রয়েছে উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। তবে দূষণ বন্ধে পদক্ষেপের আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনা সদর ও নলটোনা ইউনিয়নের আজগরকাঠি গ্রামে ছয়টি মাটির চুল্লিতে কাঠ পোড়ানো হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী কবির হোসেন এই চুল্লির মালিক।
এ বিষয়ে জানতে কাবির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলেন, পানিও মুখে দেওয়া যায় না। ধোঁয়ার গন্ধে খারাপ হয়ে গেছে পানি। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চুলা বন্ধ করার অনুরোধ করেও লাভ হয় নেই।
আজগরকাঠী গ্রামের ইমরান জানান, এখানে দিনরাত কাঠ পোড়ায়। তার পরিবারের সকলে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। কবির হোসেন প্রভাবশালী লোক। তার বিরুদ্ধে কথা বললে সন্ত্রাসী দিয়ে রাতে ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। তাই কেউ প্রতিবাদ করে না।
এদিকে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও চুল্লি মালিকরা মানছেন না নিয়মনীতি। গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেলেই চলে ম্যানেজ করার পাঁয়তারা। এসব অবৈধ চুল্লি স্থায়ীভাবে বন্ধ ও শাস্তির দাবি সচেতন মহলের।
পরিবেশকর্মী আরিফ রহমান বলেন, সুন্দরবন থেকে চোরাকারবারিরা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে এনে এসব চুল্লিতে বিক্রি করে। তালতলীর টেংরাগীরি সংরক্ষিত বনের গাছ প্রকাশ্যে কাটছে চোরাকারবারিরা। বন বিভাগ চুপচাপ। স্থানীয়রা তাদের তথ্য দিলেও বনের ভেতরে যায় না কেউ।
জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ আইনে জেল-জরিমানা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply