1. admin@dainikprothomprohor.com : admin : News Desk
দুই সন্তানের জননীর কিডনি অকেজ, ১৭ লাখ টাকার অভাবে প্রতিস্থাপন হচ্ছে না কিডনি - দৈনিক প্রথম প্রহর
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

দুই সন্তানের জননীর কিডনি অকেজ, ১৭ লাখ টাকার অভাবে প্রতিস্থাপন হচ্ছে না কিডনি

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি,

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজারের চা বিক্রেতা জামাল মোল্লা। ৫ বছর আগে একমাত্র মেয়ে সাদিয়াকে বিয়ে দিয়েছিলেন খুলনার তেরখাদা উপজেলার কৃষক রমজান খানের সাথে। বিয়ের ৫ বছরে দুটি সন্তানও হয়েছে সাদিয়ার। অভাব অনটনের মধ্যেও সুখেই স্বামীর ঘর করছিলো সাদিয়া। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে মরণ অসুখ বাসা বেধেছে তার কিডনিতে। যখন টের পেলো তখন তার একটি কিডনি অকেজ ও আরেকটার ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু পথযাত্রী এ দুই সন্তানের জননী, জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে।

সন্তানদের জন্য তার বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। স্বামী কিংবা স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত টাকা ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার বাবা চা বিক্রেতা জামাল একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে সাহায্যের আশায় ধরনা দিচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

সাদিয়ার বাবা জামাল মোল্লা বলেন, দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর হঠাৎ সাদিয়ার সারা শরীর ফুলে যায়। তখন তার স্বামী খুলনায় আড়াই শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। তখন চিকিৎসকেরা জানায় সাদিয়ার কিডনিতে সমস্যা রয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হবে। তখন ঢাকায় জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানায় সাদিয়ার একটি কিডনি পুরোপুরি নষ্ট ও আরেকটি ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় কিডনি স্থাপন করতে ১৭ লাখ টাকার প্রয়োজন।

জামাল মোল্লা বলেন, এ কথা সাদিয়ার স্বামী রমজান জানার পর ১ বছর আগে ২ সন্তানসহ তাকে আমার বাড়িতে রেখে যায়। তারপর স্ত্রী সন্তানের আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি রমজান। সঞ্চিত অর্থ ও ধার দেনা করে এতদিন মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে আসছি। এখন শুধুমাত্র ভিটে বাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। আর টাকার অভাবে বর্তমানে সাদিয়ার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।

বাবা জামাল মোল্লা আরও বলেন, ইতিমধ্যে সাদিয়ার ডান পাশের কিডনি কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। আর বাম পাশের কিডনি ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রসাবের থলি ফুলে অনেক বড় হয়ে গেছে। সাদিয়ার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাদিয়ার চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমার একমাত্র মেয়েটি বাড়িতেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাই বিত্তবান, প্রবাসীসহ স্বহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা ইসলামী ব্যাংকের হিসাব নং ২০৫০৪০০০২০০৪৯১২০৮ (সাদিয়ার মা খাদিজা বেগম) ও সাদিয়ার বাবা জামাল মোল্লার বিকাশ নাম্বারে ০১৯৭৯-১৪১৩০০ পাঠাতে পারেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, চিকিৎসকরা তার কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে। কিডিনি প্রতিস্থাপন করা হলে সাদিয়ার জীবন রক্ষা পাবে।

এবিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের যথাসম্ভব সাহায্য করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কপিরাইট © ২০২২ দৈনিক প্রথম প্রহর. কম
ডিজাইন ও ডেভেলপ : ডিজিটাল এয়ার