বরগুনা প্রতিনিধি,
সরকারী আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খান ও আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা অসহায় ২ পরিবারের কাছ থেকে ১১ হজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চরকগাছিয়া গ্রামের আলমগীর গাজী ও রুবেল মোল্লা এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৮ টি পরিবারের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়। অভিযোগ রয়েছে পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য উপজেলা বিএনপি সদস্য ইব্রাহিম খাঁন ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা আবাসনের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে চরকগছিয়া গ্রামের রশিদ গাজীর ছেলে আলমগীর গাজী ও মানিক মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লার কাছে ২৫ টাকা ঘুষ দাবী করেন। তাদের দাবীকৃত টাকা থেকে ইউপি সদস্যকে তারা ২২ হাজার টাকা দিয়েছেন। অসহায় দুই পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ায় ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতার শাস্তি দাবী করেছেন তারা।
রুবেল মোল্লার মা রাজিয়া বেগম বলেন, মেম্বর মোরে ঘর পাইয়ে দেয়ার কতা কইয়্যা ২৫ আজার টাহা ঘুষ চাইছে। মুই ১১ আজার টাহা ঘুষ দিছি।
আলমগীর গাজী বলেন, আড়পাঙ্গাশিয়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আইয়্বু আলী মোল্লা ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবী করে। আমি তার নির্দেশে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খানের কাছে ১১ হাজার টাকা দিয়েছি।
আড়পাঙ্গাশিয়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, দের মাস আগে রুবেল ও আলমগীর গাজী আমার কাছে কাগজপত্র দিয়েছে।
পঁচাকোড়ালিয়া ইউপি সদস্য ও উপজেলা বিএনপি সদস্য ইব্রাহিম খাঁন ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা নেইনি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে কেউ ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নিলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply