রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার একটি তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরো ১৪ জন।
তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢমেক) হাসপাতালে আটজনকে ভর্তি করা হয়। আর দগ্ধ হওয়া ছয়জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে ঠিক কী কারণে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আটজন ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন— জাকির হোসেন জুয়েল (৩৫), মেহেদী হাসান (২৫), অজ্ঞাত পুরুষ (৪০), তাজ উদ্দিন (৩০), কবির (৩২), রাবেয়া খাতুন (১৭), নুরুন্নবী (২৫) ও কামাল (৪০)। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিস্ফোরণের ঘটনায় রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় ছয়জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তারা হলেন— নূরনবী (২৩), আকবর আলী (৫২), আশরাফুজ্জামান (৩৬), আশা (২৫), হাফিজুর রহমান (৩২) ও জহুর আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন। তিনি বলেন, সায়েন্সলাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ছয়জন এখানে এসেছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে, ধসে পড়া দেয়ালের আশপাশের অরক্ষিত দেয়ালও ভেঙার আশঙ্কা থাকায় ঐ ভবনের সামনে দিয়ে লোকজনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সড়ক দিয়ে যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাস্তায় গাড়ির প্রচুর চাপ থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে অল্প করে হলেও যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মো. শহীদুল্লাহ।
অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ থাকায় আশপাশের এলাকায়ও তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে যাত্রীদের যানবাহনে বসে থাকতে হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) রমনা বিভাগের ডিসি মো. শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা আশপাশের মার্কেটও বন্ধ রেখেছি। আর সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকের সমস্যা হচ্ছে। তাই কোনোভাবে চালু রাখা যায় কিনা সে বিষয়টির চেষ্টা করছি। কারণ আজ রোববার তাই রাস্তায় খুব চাপ।
Leave a Reply