বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী থেকে কর্মী নিবে কাতার।
প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে ১১২৯জন সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী নেওয়া হবে।
কাতারের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানন, আপতত বাংলাদেশ থেকে ১১২৯জন কর্মী নেওয়া হবে তবে পরবর্তী এর সংখ্যা আরও বাড়বে। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হবে।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সামরিক সহয়তা বিষয়ক একটি সমঝতা স্মারক হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার কাতারে সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টারে সামরিক সহায়তা চুক্তি হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এবং
কাতারের পক্ষে সামরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সালেম হামাদ আকিল আল নাবিদ।
লেফটেন্যান্ট ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করবেন তার আওতাধীনে।দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর মর্যাদা অনুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে। এবং এই চুক্তির মাধ্যমেই বাংলাদেশর সশস্ত্র বাহিনী থেকে আরও সদস্য নিবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এই সশস্ত্র বাহিনী থেকে যথেষ্ট পরিমান রেমিটেন্স বাংলাদেশে যাবে আনুমানিক প্রতিমাসে সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার। এবং তাদের থাকা -খাওয়া ফ্রী থাকবে। তাছাড়া ও দুই দেশের মধ্যে ও মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন তৈরী হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কে কাতার দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারনেই এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে।
এই চুক্তিতে শুধু বাংলাদেশ নয় কাতার ও উপকৃত হবে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে কাতার।
Leave a Reply