বরিশালের উজিরপুরে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস নিয়েছেন রিফাত জোমাদ্দার নামে এক যুবক। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই গ্রামের ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি।
রিফাত জোমাদ্দার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বাইশঘর গ্রামের ফোরকান জোমাদ্দারের ছেলে। তিনি বরিশাল নগরের ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিংয়ারিংয়ে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, এক বছর আগে বরিশাল নগরের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন হাওলাদারের মেয়ে আসমা বেগমের সঙ্গে রিফাত জোমাদ্দারের বিয়ে হয়। আসমা বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর কৃষি কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানের হলে থেকেই পড়াশুনা করেন তিনি।
রিফাতের স্ত্রী আসমা বলেন, রিফাতের সঙ্গে আমার শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় কথা হয়। রাতে রিফাত ভিডিও কলে আমাকে বলে, ‘তোমারে বিয়ের পর বাবা-মা কেউ ভালোবাসে না, এখন তুমিও আমাকে ভালোবাসো না’। রিফাত সবসময় বোরকা পরে চলাফেরা করতে বলতো। কিন্তু কিছুদিন আগে ফেসবুকে বোরকা ছাড়া ছবি আপলোড দেওয়ায় রাগ করে চার দিন ধরে আমার সঙ্গে ঠিক করে কথা বলতো না রিফাত। সবশেষ আমাকে ভিডিওতে কল দিয়ে কথা বলে আত্মহত্যা করল সে। এ সময় অনুনয়-বিনয় করলেও তাতে সে কর্ণপাত করেনি।
তিনি আরো বলেন, পরে বিষয়টি রিফাতের দুই বন্ধু রিয়াদ ও শাওনকে জানাই। তারা বিষয়টি রিফাতের মামা শান্তকে জানান। শান্ত বাসায় গিয়ে রিফাতকে উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান সোহাগ বলেন, প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় তাদের। সম্প্রতি তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এছাড়া মুখখোলা অবস্থায় ফেসবুকে ছবি দিলে তাতে ক্ষুব্ধ হন রিফাত। এ নিয়ে রিফাতের স্ত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ভিডিও কলে রেখে রিফাত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
তিনি আরো বলেন,রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
Leave a Reply