জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ৩১৫- আসনের সংসদ সদস্য, সুলতানা নাদিরা।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুলতানা নাদিরা শুক্রবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মোনাজাত হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি দেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
১৫ আগস্টের বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এবং পরবর্তীতে কেকে কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেন
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাবির হোসেন, পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র, আনোয়ার হোসেন আকন, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাইফুল ইসলাম শাকিল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ, সম্পাদক আহমেদ সুজন। পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, মোঃ শাহাজাদা হাওলাদার সোহাগ সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ সহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।জনসাধারণের কাছে তিনি “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই অধিক পরিচিত।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হন।
Leave a Reply