বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার)। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল দিনটি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৫১ সাল থেকে প্রতিবছর এটি পালন হয়।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রজন্মান্তরে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির ভবিষ্যৎ’।
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা কর্তৃক এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘The Future of Weather Climate and Water across Generations’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিন দিন চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৪ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, খরাসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ায় আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানী ঢাকার বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের সেমিনার হলে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। অধিদফদরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, বিশেষ অথিতি থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান প্রমুখ। তা ছাড়া দেশের গণমাধ্যমগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক সেশন ও ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আবহাওয়া সংক্রান্ত্র বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Leave a Reply