রাজধানী ঢাকার মুগদা পুকুর পার এলাকায় বান্ধবীর বাসায় ঘুরতে গিয়ে খুন হয়েছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সোহান (২৬)। তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইউনুস খানের একমাত্র ছেলে।
মুঠোফোনে পর্যবেক্ষণকে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল আলম বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ মুগদা হাসপাতালে মৃত অবস্থায় তাকে পেয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের কর্তব্যরত আব্দুল্লাহ আল সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন। এরআগে মুগদা মনোয়ারা হাসপাতালের পিছনের একটি বাসার সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের জামাতা তানজিল অভি।
নিহতের এক স্বজন পর্যবেক্ষণকে জানান, আব্দুল্লাহ আল সোহান মুগদা মনোয়ারা হাসপাতালের পিছনে তার বান্ধবীর বাসায় ঘুরতে যান। এসময় বান্ধবীর পরিবারের সদস্যরা কেনাকাটার জন্য বাসার বাইরে ছিলো। বান্ধবীর বাসায় পৌঁছালে স্থানীয় দুইজন যুবক ও বাড়ির মালিক বাসার কলিং বেল বাজায়। সোহানের বান্ধবী দরজা খুললে তারা সোহানকে ডাকতে বলে। সোহান দরজায় আসলে তারা সোহানের সাথে আলাদা কথা বলতে চায়৷ এসময় সোহানের বান্ধবী বাধা দিলে বাড়ির মালিক তাকে আশ্বস্ত করে একটু কথা বলে কিছুক্ষণ পরে সোহানকে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। তারা সোহানকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে সোহান তার বোন জামাতাকে ফোন দিয়ে জানায় তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। বোন জামাতা তানজিল অভি তখন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোহানকে সেই বাড়ির সামনে সড়কে অজ্ঞান অবস্থায় পায়। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের পিতা মো. ইউনুস খান পর্যবেক্ষণকে বলেন, তার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আব্দুল্লাহ আল সোহান সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি পাশ করেছেন। উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য তার কানাডায় যাওয়ার সকল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়েছিলো। আগামী ১০ এপ্রিল কানাডায় যাওয়ার বিমান টিকেট কাটা ছিলো আব্দুল্লাহ আল সোহানের।
Leave a Reply