হজ্ব নিবন্ধনের সময় ৭ম দফায় বাড়ছে। এ দফায় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে ৬ষ্ঠ দফায় ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। এই সময়ের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬০ জন। এখনো ৯ হাজার ৩৮ জন নিবন্ধন করেননি। এ অবস্থায় আবারো সময় বাড়ানো হলো।
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী নিবন্ধন সিস্টেমের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে বেসরকারিভাবে ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৩০ জন। এখনো কোটা ফাঁকা রয়েছে ৩ হাজার ৯৬৮ জনের। এছাড়া সরকারিভাবে ১৫ হাজার জনের মধ্যে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৩০ জন। কোটা ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৭০ জনের।
গত সোমবার ৬ষ্ঠ দফায় তিনদিন সময় বাড়িয়ে ৩০ মার্চ পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নতুন সময়ের মধ্যে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা পরিবর্তিত প্যাকেজ অর্থাৎ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমে নিবন্ধন করতে পেরেছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (ডিএস) আবুল কাসেম মোহাম্মদ শাহীন বলেন, অনেকে এখনো পাসপোর্ট হাতে পাননি বলে এ পরিস্থিতি হয়েছে। তারা পাসপোর্ট পেলেই নিবন্ধন করবেন বলে মন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছেন। কোটা পুরোটাই পূরণ হয়ে যাবে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তিত নয়।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের হাজিদের জন্য মিনায় তাঁবুর খরচ (এ বি সি ডি ক্যাটাগরি) ৪১৩ সৌদি রিয়াল কমায় সৌদি সরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১ হাজার ৭২৫ টাকা। যারা এরই মধ্যে নিবন্ধন করেছেন, তাদের খাবারের টাকার সঙ্গে এই পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
হজ অনুবিভাগ বলছে, হজের প্যাকেজের মূল্য কমানোর পর ৬ দিনে নিবন্ধন করেছেন ২ হাজার ২১ জন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজযাত্রীদের হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে। সে হিসেবে এখনো হাতে আছে ১০ দিন। এর মধ্যে নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়ে যাবে।
Leave a Reply