বরগুনার পাথরঘাটায় ১৮ মার্চ রোজ শনিবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে বরগুনা ডিবি পুলিশের একটি দল ইয়াবার বিশেষ অভিযান চালায় পাথরঘাটা উপজেলার মুন্সির হাট নামক স্থানে। এসময় ইয়াবা ব্যাবসায়ীর একটি দল অভিযানরত ডিবি পুলিশের উপর হামলা করে। তাতে ৩ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
পাথরঘাটায় ডিবি পুলিশ সদস্যকে আহত করার ঘটনায় মাদকব্যাবসায়ী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আব্দুর রব (৪০), কে গ্রেফতার করেছেন র্যাব। আসামি আব্দুর রব (৪০) পিতা: মৃতঃ আঃ রশিদ হাং, সাং মঠেরখাল, ৭নং ওয়ার্ড, চরদুয়ানী ইউনিয়ন, পাথরঘাটা, বরগুনা।
পলাতক ২ আসামি হলো মোঃ সৈকত (২৩) , পিতাঃ ইউনুস আকন, সাং দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া, চরদুয়ানী ইউনিয়ন, পাথরঘাটা, বরগুনা।
রফি ওরফে তুহিন (১৯),পিতাঃ আঃ রহিম, সাং দশঘর, হোগলাপাশা, চরদুয়ানী ইউনিয়ন, পাথরঘাটা, বরগুনা।
পাথরঘাটা উপজেলা চরদুয়ানী ইউনিয়ন মুন্সিরহাট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনা কর্তৃক এসআই মোঃ বাশার এর নেতৃত্বাধিন ০৫ সদস্যের একটি টিম একটি অভিযান পরিচলনা করে , এ সময় চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের মুন্সিরহাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করা কালীন সময় উক্ত বাজারে মোঃ জাকারিয়া, পিতা- জাহাঙ্গীর, সাং- কালিবাড়ি ০৪ নং ওয়ার্ড, থানা- পাথরঘাটা, জেলা-বরগুনা এর “চা” এর দোকানে ডিবি প্রিন্স সিমলাই, ও সোর্স মোঃ রিপন (৪০), পিতা- আঃ কুদ্দুস এবং মটরবাইক ড্রাইভার সাগর বেপারী(২৪), পিতা- শামসুল হক বেপারী, উভয় সাং- পরীরখাল ০৭ নং ওয়ার্ড, থানা+জেলা- বরগুনা’গন মাদকদ্রব্য উদ্ধারের সময় দোকানের পিছনে মাদক বিক্রেতা অত্র পাথরঘাটা উপজেলা নিবাসী মোঃ সৈকত ও আঃ রব দ্বয়কে ধৃত করার সময় ধস্তাধস্তি শুরু হয় এরই প্রেক্ষিতে মাদক বিক্রতারা তাদের সাথে থাকা ছুরি দিয়ে অতর্কিতভাবে ডিবি কং প্রিন্স, সোর্স রিপন ও ড্রাইভার রিপনদের এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের অন্য সদস্যদের বাজারে থাকা লোকজনরা খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পাথরঘাটা থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলো, পাথরঘাটা সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ পাথরঘাটা থানা মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। আহত সোর্স মোঃ রিপন’কে উন্নত চিকিৎসার জন্য তখন বরিশাল শেবাচিম প্রেরন করা হয়েছিলো।পলাতক আসামীদের ধৃত করার জন্য পাথরঘাটা থানা ও ডিবি পুলিশ কর্তৃক যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছিলো আর তাতে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তবে এখনো দুজন আসামিকে গ্রেফতার করার অভিযান চলছে।
Leave a Reply