সহযোগিতা পেলে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও।
এসব শিশুদের বাড়তি যত্ন ও পরিচর্যার মাধ্যমে দক্ষ, মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা জানান, অটিজম কোনো মানসিক রোগ নয়, মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এসব শিশুরা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ ও পারদর্শী।
সবার সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে যোগ্যতার মাপকাঠিতে এগিয়ে যেতে পারে এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও।
১১ বছরের তাহমিদ। রাজশাহীর আনন্দধারা স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ক্যালকুলেটরের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ, যেন মাথায় গেথে আছে এই গণনাযন্ত্র। এক নিমিষেই যেকোনো যোগ-বিয়োগ; গুন-ভাগ বলে দিতে পারে। তাহমিদের মা শুকরানা জামিল জানান, অটিজম শিশুরাও কখনো কখনো অন্যদের চেয়ে বেশি দক্ষ ও পারদর্শী।
অভিভাবকদের প্রত্যাশা, অটিজম শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সহজলভ্য হবে। পাশাপাশি সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসব শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সহায়তায় সবাই এগিয়ে আসবে।
রাজশাহী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কল্পনা রায় ভৌমিক বলেন, পরিচর্যা, উৎসাহ ও সুযোগ পেলে এই শিশুরা হয়ে ওঠে সফলতার উদাহরণ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষাক ড. শরিফুর ইসলাম জানান, অটিজম কোনো মানসিক রোগ নয়, মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা। বিশেষ যত্নে এসব শিশুরা ফিরতে পারে সমাজের মূল স্রোতে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অটিজম আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ালে তারা যেমন দেশের অগ্ৰযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারবে, তেমনি বাড়বে তাদের জীবনযাত্রার মানও।
Leave a Reply