মিরপুরে ইতিহাস গড়ে টেস্টে জিতেছে বাংলাদেশ। টেস্টের চতুর্থ দিনে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বস্তির জয় পেয়েছে টিম টাইগার্স।
এর আগে টেস্ট খেলুড়ে ১১টি দেশের বিপক্ষেই প্রথম টেস্টে হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জিতে সেই লজ্জা ঘুঁচেছে সাকিব আল হাসানের দল।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৭ ওভার ১ বল খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আর প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩৬৯ রান। সফরকারীরা নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ২১৪ রান, আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে থেমেছিল তারা। এতে টাইগারদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩৮ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। তবে দ্রুত গতিতে রান তুলতে গিয়ে মার্ক আদাইরের বাউন্সে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে যান লিটন।
সাজঘরের ফেরার আগে ১৮ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছয়ে ২৩ রান করেন লিটন। এরপর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই অ্যান্ডু ম্যাকব্রিনের বলে আইরিশ দলপতি বালবির্নির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে ৯ বলে মাত্র ৪ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর বাইশ গজে তামিমকে সঙ্গ দিতে আসেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটে এসেই দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন তিনি।
এদিন মুশফিকের সঙ্গে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে যেতে সাহায্য করছিলেন তামিম। তবে হোয়াইটের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে কমিন্সের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩১ রান করেন এ ব্যাটার।
অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে লড়াই করতে থাকা মুশফিক টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬তম অর্ধ শতক তুলে নেন তিনি। পরে ৫১ রানে অপরাজিতে থেকে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন তিন। এছাড়াও ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক।
এর আগে টেস্টের তৃতীয় দিন ৮ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। সকাল বেলা উইকেটে পেসারদের জন্য যে বাড়তি সুবিধা থাকে সেটা পুরোপুরি আদায় করেছেন এবাদত হোসেন। এদিন নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি।
ইনিংস হার এড়িয়ে আইরিশদের ম্যাচে ফেরানো অ্যান্ডু ম্যাকব্রিন এবাদতের পোলার লেন্থের ডেলিভারীতে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন।
ইনিংসের ১১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তার স্টাম্প উপড়ে দিয়েছেন এবাদত। সাজঘরে ফেরার আগে গত দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পেরেছেন কেবল ১ রান। শেষ পর্যন্ত ৮ চার আর এক ছক্কায় ১৫৬ বল খেলে ৭২ রান করেছেন তিনি।
এর তিন ওভার পর আবারও এবাদতের আক্রমণ। এবার এই পেসারের শিকার গ্রাহাম হিউম।
১১৬তম ওভারের শেষ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থে রেখেছিলেন এবাদত, সেখানে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুয়ে বল চলে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। হিউমকে ১৪ রানে ফিরিয়ে আইরিশদের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন এ ডানহাতি পেসার।
Leave a Reply