কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনে সিগন্যাল ভুলের কারণে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী সোনারবাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলো সোনারবাংলা এক্সপ্রেস। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের হাসানপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করার সময় এটি সিগন্যাল ভুলের কারণে স্টেশনে দাঁড়ানো মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। লাইনচ্যুত সোনারবাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্ধারে লাকসাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম, নাঙ্গলকোট থানা-পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। দুর্ঘটনার তিন ঘণ্টা পর ডাবল লাইন দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল ফের চালু করা হয়েছে।
লাকসাম জিআরপি থানার ওসি জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে রয়েছেন জিআরপি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক তানবীর, পুলিশ সদস্য আবসার ও সোনার বাংলা ট্রেনের এটেডেন্ট সাইদুর রহমানসহ প্রায় অর্ধশত যাত্রী।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ভুল সিগন্যালের কারণে একই লাইনে সোনারবাংলা এক্সপ্রেস প্রবেশ করায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রী নাজমুল হাসান ও বিল্লাল হোসেনসহ কয়েকজন জানান, কিছু বুঝে উঠার আগেই ট্রেনটির বগি হঠাৎ করে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
সোনারবাংলা ট্রেনে কর্মরত জিআরপি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক তানবীর বলেন, হাসানপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগে ট্রেনটি আঁকাবাঁকা হয়ে ঢুলতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এ সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হলে প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হন।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল ছুটে যান কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। ওই সময় তিনি জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় ২০-২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় সোনারবাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাতটি ও মালবাহী ট্রেনের একটিসহ দুটি ট্রেনের আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে ডাবল লেনের অন্য একটি লেনে ট্রেন চলাচল করছে। এরই মধ্য উদ্ধার কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন।
Leave a Reply