পাসওয়ার্ড, প্যাটার্ন লক বা বায়োমেট্রিক— মোবাইল যেভাবেই সুরক্ষিত করার চেষ্টা করুন না কেন, খুঁতখুঁতানিটা রয়েই যায়। হ্যাকারদের থেকে আমার মোবাইল সুরক্ষিত তো?
ফোনকে সুরক্ষিত করার জন্য পাসওয়ার্ড দেওয়ার আগে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে পাসওয়ার্ডের শক্তির ব্যাপারে। তা যেন কখনোই অভিধানের শব্দ না হয়। অর্থযুক্ত শব্দ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করলে তা হ্যাক করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রচলিত পাসওয়ার্ড, যেমন 12345678, 111111, 987654321, 123123 ব্যবহার না করাই ভালো। চেষ্টা করতে হবে অর্থহীন এবং জটিল শব্দ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করার।
অক্ষর, সংখ্যা এবং চিহ্ন একই সঙ্গে পাসওয়ার্ডে রাখতে হবে। বড় পাসওয়ার্ড দিলে তা ভাঙা তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়ে যায়। প্যাটার্নের ক্ষেত্রেও উচিত যতটা সম্ভব কঠিন প্যাটার্ন দেওয়া। প্যাটার্নের ‘ড্র লাইন’ ভিজিবল করে না রাখাই ভালো।
আসলে জটিল লক ব্যবহার করার মূল কথাই হলো লক সিস্টেমকে শক্তিশালী করা। আর লক যত শক্তিশালী হবে তা ভাঙতে সময় লাগবে তত বেশি।
ফলে এই সময়ের মধ্যে আপনার খোয়া যাওয়া ফোনটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারবেন। ডেস্কটপ থেকে ফোনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেও ফোনটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন।
ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য দেওয়া পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত করতে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। এটি ফোনের সমস্ত পাসওয়ার্ডগুলো নিয়ে একটি সিঙ্গেল মাস্টার পাসওয়ার্ড তৈরি করে। যা অন্য পাসওয়ার্ডগুলোকে ‘এনক্রিপটেড ভার্সন’-এ পরিণত করে। ফলে সুরক্ষিত থাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যভাণ্ডার।
Leave a Reply