ঈদের পর তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবক’টি মূল্যসূচক বেড়েছে। লেনদেনের গতিও বেড়েছে। ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম)-এর উপরে উঠে এসেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এর মাধ্যমে ঈদের আগে ও পরে মিলে টানা আট কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে ৬৪ কার্যদিবসের মধ্যে বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ঈদের আগে শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ কমায় এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলেছে। এখন হুট করে বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ না বাড়ালে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার লেনদেনের শুরুতেই মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং ভালো লেনদেনের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেনের শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে আধা ঘণ্টার মধ্যে ডিএসইতে ১৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
এদিন ডিএসইতে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭২টির এবং ২১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় বাড়েনি, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আমরা নেটওয়ার্ক, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, সি পার্ল বিচ রিসোর্টের, জেনেক্স ইনফোসিস, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং জেমিনি সি ফুড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। লেনদেন অংশ নেয়া ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৪৪টির এবং ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেশ কমে গেছে। আবার ব্যাংকসহ ডিসেম্বর ক্লোজিং প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশের ঘোষণা আসছে। সামনে জুন ক্লোজিং প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশের ঘোষণা আসবে। সবকিছু মিলে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। হুট করে বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ না বাড়ালে আশা করা যায় এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply