বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় হাতেমপুর গ্রামের নবী হোসেনের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও ওই জমি দখলের চেষ্টা এবং ওই ঘরের বাসিন্দাদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় নবী হোসেন ও তার স্ত্রী হাফিজা আক্তারসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাতেমপুর এলাকার খলিল মুন্সির ছেলে নবী হোসেনের বসতবাড়িতে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাথরঘাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন।
নবী হোসেন জানান, তার জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আজ সকালে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন তাকে পরিষদে ডাকে। এসময় তখন তাকে কিছু সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে। স্বাক্ষর না করায় তার মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে এলাকা ছাড়ার জন্য বলে। যদি এলাক না ছাড়ে তাহলে তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলা ও তাকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়।
নবী হোসেন আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ছগির হোসেন ও তার লোকজন শহিদ, কবির, বারেক,সোহাগ,ফোরকানসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক আমার বাড়িতে আমলা চালায়।
নবী হোসেনর মা বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় এ হামলায় আমাদের ঘড় বাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমার ছেলে নবী হোসেন ও পুত্রবধূ হাফিজ আক্তারসহ চার জনকে মারধর করে। এই ঘটনায় প্রতিপক্ষ ছগির হোসেনের আঘাতে আমার ছেলে নবী হোসেনের মাথায় জখম হয়। এবং অপর তিনজন জন্য আহত হন। এ ঘটনার পর পরই নবী হোসেনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন এ বিষয় তিনি অবগত নেই।
Leave a Reply