বরগুনার পাথরঘাটার কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে গত ২৯ এপ্রিল কালমেঘার সোনালী বাজারে মানববন্ধনের প্রতিবাদে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই মাদ্রাসার সুপার মুহাম্মদ জালাল আহম্মেদ। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান ও ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) ইব্রাহিম মিয়া।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুহাম্মদ জালাল আহম্মেদ বলেন, গত ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে কালমেঘার সোনালী বাজারে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান না করার প্রতিবাদে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও মাদ্রাসা বিরোধী স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দারা। ওই মানববন্ধনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মানববন্ধনে ওই সব বিরোধীপক্ষ বক্তব্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান, সুপার মুহাম্মদ জালাল আহম্মেদ ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) ইব্রাহিম মিয়াকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে মানসম্মানহানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন মাদ্রাসার নিজস্ব পুকুর আব্দুল কাদের মামুনকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। যা মামুন ভোগ দখল করেন। ওই পুকুরের মাছ সুপার বিক্রি করে টাকা নিয়েছে এ ধরনের বক্তব্য মিথ্যা ও বানোয়াট। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার বরাদ্দে মাদ্রাসা মাঠ ভরাট করা হয়েছে। এতে কোন অনিয়ম হয়নি। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি অবৈধ বলিয়া যারা বলেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে গত ২ আগস্ট ২০২২ এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।
এছাড়াও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল হক এর আমলে একটি নিয়োগ নিয়ে ১৩ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে একটি কারণ দর্শনের নোটিশ দিয়েই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় আমি আদালতের স্বরপন্ন হয়ে মামলা করলে ওই নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হয় এবং আদালত আমাকে পুনরায় সুপারের দায়িত্ব দেন। তবে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা বিদায় অনুষ্ঠানে আয়োজন না করায় অফিস সহকারী আব্দুল কাদের মামুন ও সহকারী মৌলভী হাবিবুল্লাহকে গত ২ মে দায়িত্বে অবলার কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, পূর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে তবে দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় ঘটনায় ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুহাম্মদ জালাল আহম্মেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তবে স্থানীয় একটি পক্ষ মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাদের মান-সম্মান হানি করার চেষ্টা করছে।
Leave a Reply