ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু ফিলিস্তিনি। তবে হতাহতের সংখ্যা ঠিক কত তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) ভোরের ঠিক আগে গভীর রাতে চালানো ইসরায়েলি এই বিমান হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। আলজাজিরার ইউমনা আল সাইয়েদ গাজা থেকে জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে। এছাড়া ইসরায়েলি এই বিমান হামলায় অজ্ঞাত সংখ্যক লোক আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
আল সাইয়েদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরের আগে স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে গাজার বিভিন্ন অংশে আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
আল সাইয়েদ বলছেন, ‘হামলায় নিহত ব্যক্তিদের নাম কী বা কতজন আহত হয়েছেন এটা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। আমাদের কাছে শুধুমাত্র নিশ্চিত করা হয়েছে যে, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় সর্বশেষ বিমান হামলায় ১০ জন, কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। ’ তিনি আরও বলেন, ‘যখনই আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়, সেখানে সবসময়ই (বেসামরিকদের মধ্যে) হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। ’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে গাজা শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ওপরের তলায় এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তাদের তিন নেতা বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন জিহাদ আল-ঘন্নাম, খলিল আল-বাহতিনি, তারিক ইজ আল-দীন।
এই তিনজনকে তাদের স্ত্রী এবং কিছু সন্তানসহ হত্যা করা হয়েছে বলে গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে। তবে তাদের স্ত্রীদের, বা কতজন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি তারা। অন্যদিকে এই বিমান হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলে পাল্টা রকেট হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছে ইসরায়েল।
Leave a Reply