পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন বাংলাদেশে ভোক্তারা অস্থির, তখন দেখা যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানে বাংলাদেশের চেয়ে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছে সরকার।
কমোডিটি অনলাইনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শনিবার (২০) ভারতের কলকাতায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৯ টাকা এবং দিল্লিতে ৩২ টাকা, পাকিস্তানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়।
মিয়ানমারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১১ টাকায়।
চীনে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৩ টাকা এবং বাংলাদেশে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শনিবার (২০ মে) রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেসের সাবেক সাংবাদিক ও দিল্লির বাসিন্দা সুরাইয়া সারথি রায় গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, দিল্লিতে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক। শনিবার (২০ মে) এখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫ রুপিতে। আর কলকাতায় বিক্রি হয়েছে ১৫ রুপিতে।
এদিকে পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা সার্ক চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব রাষ্ট্রদূত রহমত উল্ল্যা জাবেদ গণমাধ্যমকে বলেন, লাহোরে শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ পাকিস্তানি রুপিতে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ টাকা।
শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা জানান, গতকাল পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যা ছিল ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়।
তিনি আরও বলেন, সরকার দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিলে কেজিতে ২৫-৩০ টাকা কমে যাবে। দেশের স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ বর্তমানে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্যানুসারে বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টন।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত হয়েছে ২৯ লাখ ৫৫ হাজার টন। আমদানি করা হয় ছয় থেকে সাত লাখ টন। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় নষ্ট হয় ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়ে গেছে, সেটা আমি জানি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে দাম স্বাভাবিক রাখা হবে। আর দুই-এক দিনের মধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানি শুরু করবে।
Leave a Reply