সৌদি আরবের নারীরা চলাফেলার ক্ষেত্রে বেশ পরাধীনতার মধ্যে থাকেন- এমন কথা শোনা যায় বহু বছর ধরে। কিন্তু যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর দেশটির নারীদের কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসাসহ তাদের এগিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ নেন। এরই অংশ হিসেবে দেশটির একজন নারী নভচারী এই প্রথম মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করলেন।
‘হ্যালো! আমি মহাকাশ থেকে বলছি।
ক্যাপসুলে বসে পৃথিবী দেখার অনুভূতি অতুলনীয়। ’ মহাকাশের কক্ষপথ থেকে এটিই ছিল নারী নভোচারী রায়ানাহ বার্নাবির বার্তা।
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের একটি রকেটে চড়ে গত সোমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছান রায়ানাহ বার্নাবি। পেশাগত জীবনে তিনি একজন স্তন ক্যানসারের গবেষক। তাঁর সঙ্গে মহাকাশে রয়েছেন সৌদির পুরুষ নভোচারী আলি আল-কারনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গত রোববার নভোচারীসহ মিশনটির যাত্রা শুরু হয়। অ্যাক্সিওম মিশন ২ (অ্যাক্স-২) নামের এই মিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন পেগি হুইটসন ও জন শফনার। তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রায় ১০ দিন থাকবেন। চার সদস্যের এই দল আইএসএসে থাকাকালে প্রায় ২০টি পরীক্ষা চালাবে। এগুলোর একটি হলো মহাকর্ষণশূন্য পরিস্থিতিতে স্টেমসেল কীভাবে কাজ করে। তাঁরা আইএসএসে অবস্থান করা আরও সাতজনের সঙ্গে যোগ দেবেন।
মহাকাশ মিশনে সৌদির কোনো নারীর যুক্ত হওয়াটা তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটির জন্য প্রথম ঘটনা। সৌদি আরব ২০১৮ সালে সৌদি স্পেস কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর জন্য সংস্থাটি গত বছর একটি প্রকল্প চালু করে।
Leave a Reply