Warning: Creating default object from empty value in /home/dainikprothompro/public_html/wp-content/themes/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ও পরে হত্যা - দৈনিক প্রথম প্রহর
  1. admin@dainikprothomprohor.com : admin : News Desk
চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ও পরে হত্যা - দৈনিক প্রথম প্রহর
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ও পরে হত্যা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নোয়াখালীতে চুরির পর এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় দুই চোরকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়োন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, এক জোড়া রুপার নুপুর ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, দুই আসামি দায় স্বীকার করে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ্ উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর নলুয়া গ্রামের মো.জাকের হোসেনের ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলম ও একই গ্রামের মো.নুরউদ্দিন ওরফে বিটুর ছেলে মো.নিজাম উদ্দিন শান্ত। তারা পেশায় রিকশাচালক ও বন্ধু।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভিকটিমের স্বামী কবিরহাট উপজেলার রামেরশ্বরপুর গ্রামের একটি নার্সারিতে চাকরি করেন। সেই সুবাধে তিনি সেখানে থাকেন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভিকটিম রাতে বাড়িতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। আসামিরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সিঁধ কেটে তার বসত ঘরে ঢুকেন। আসামি শান্তর বাড়ি এবং ভিকটিম নাজমুন নাহারের বাড়ির কাছাকাছি। ভিকটিম বিষয়টি টের পেলে তারা ছোরার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে কাবু করে এবং ঘরের ভেতরে তল্লাশী করে ভিকটিমের মোবাইল, স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল, একটি নাকের ফুল এবং রুপার এক জোড়া নুপুর কেড়ে নেন। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ভিকটিমকে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করেন। ভিকটিম তাদেরকে চিনে ফেলায় ভিকটিমের হাত-পা বেঁধে গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান আসামিরা।

ওসি আরো বলেন, পরদিন সকাল ৭টার দিকে গুরুতর অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ভিকটিম।

মামলাটি গত ৩০ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখাতে তদন্তের জন্য হস্তান্তর হওয়ার পর (ডিবি) টিম চাঞ্চল্যকর রহ্যসজনক হত্যার বিষয়টি উদঘাটনে মাঠে নামেন। চলতি বছরের সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামিদের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে হত্যা ও ধর্ষণের স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কপিরাইট © ২০২২ দৈনিক প্রথম প্রহর. কম
ডিজাইন ও ডেভেলপ : ডিজিটাল এয়ার