বরগুনার পাথরঘাটায় হরিণঘাটা এলাকায় ১৬ ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার টার দিকে পাথরঘাটা হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রের বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এলাকাবাসীর দাবি বিট কর্মকর্তা মোঃ আল- আমিন একজন ঘুষখোর,দূর্নীতিবাজ, টাকার বিনিময়ে বনে গাছ বিক্রি করে, এলাকার জেলেদের বিভিন্ন রকম হয়রানি করে,
উল্লেখ্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার হরিণঘাটা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন পাথরঘাটা থানায় একটি এজাহার ভুক্ত মামলা দায়ের করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যে মোঃ ফাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি জানান পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড চরলাঠিমারা ইউপি সদস্য মোঃ ফাইজুল ইসলাম তাকে লাঞ্ছিত করেন , হরিণঘাটা ফরেস্ট অফিসের সামনে এঘটনা ঘটে।
পাথরঘাটা থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহআলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, ইউপি সদস্যের দ্বারা বন কর্মকর্তা লাঞ্চিতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন, তিনি বলেন, হরিনঘাটা বনের বিট কর্মকর্তা মোঃ আল- আমিন,পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চরলাটিমারা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহার ভুক্ত করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার দুপুরের দিকে পাথরঘাটা রেঞ্জ উপকূলীয় বনভিবাগ, পটুয়াখালী পাথরঘাটা উপজেলা আওতাধীন হরিণবাড়িয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন কে দায়িত্বরত পালনকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফাইজুল ইসলাম এর দ্বারা বন কর্মকর্ত লাঞ্ছিত হয় এর সত্যতা পাওয়া যায়।
এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় যে ওই এলাকার ইউপি সদস্য খুবই প্রভাবশালী যার কারনে এই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় বাধা সম্মুখীন হতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ১২ই ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার দুপুর ১:৩০ টার দিকে বন বিভাগের সংরক্ষিত এলাকায় মাটিকাটা নিয়ে কথার কাটাকাটি হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন
মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে যায়। তিনি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে আসার পরেই এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ উঠে কর্মকর্তাকে কিল- ঘুষি,চড় থাপ্পর মারে।এবং দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়ে থাকেন, এ ঘটনার বিষয় পাথরঘাটা থানায় এটি মামলা দায়ের করা হয় সেখানে চারজনকে সাক্ষী করে, ইউপি সদস্য ফাইজুল ইসলাম কে আসামি করা হয় ওই মামলায় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন অভিযোগ করেন তার কাছে থাকা ৬০০০ টাকা ইউপি সদস্য কেড়ে নেয় এবং জোড়পূর্বক অফিসের টেবিলের উপরে থাকা সরকারি হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ টিকিট বহি যার নং ২৩৭, ড্রয়ারে থাকা প্রবেশ টিকিট বিক্রির ছয় হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা স্টাফদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আমার অফিস থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া ও অফিসে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ইউপি সদস্যের দ্বারা বন কর্মকর্তা লাঞ্চিত ঘটনায়
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ ফাইজুল ইসলাম জানান, বন কর্মকর্তা মোঃ আল- আমিনের সাথে শুধু কথা কাটাকাটি হয়, যার কারণ হল, ঐ কর্মকর্তা একজন ঘুষখোর, দূর্নীতিবাজ, তিনি আসার পর থেকেই বন থকে গাছ উজার হয়ে যাচ্ছে আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে শুধু জিজ্ঞাসা করেছি মাত্র তার অভিযোগ মিথ্যা ও বনোয়াট।
এ বিষয় বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওই বিট অফিসার আল- আমিন, অসৎ ঘুষখোর টাকার বিনিময়ে বনের গাছ বিক্রি করে এবং টাকার বিনিময়ে গরু ছাগল চড়ায বনের ভিতর এবং বন এলাকায় চরঘেড়া জাল মালিকের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে ইলিশের বাচ্চা নিধনর লিপ্ত থাকেন, আমি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ পেয়ে থাকি, ইউপি সদস্য মোঃ ফাইজুল ইসলামের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি ঘটনার সময় নিজে উপস্থিত ছিলাম। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়া আমি এই বিট অফিসারের শাস্তি দাবি করছি।
পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ সাথে যোগাযোগ করা জানা যায়, তিনি বলেন,লাঞ্চিতের ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন যে আসলেই ওই ইউপি সদস্য, আগে থেকেই দায়িত্ব পালনে বাধা দিচ্ছেন এবং গতকালকের অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটিয়েই ছাড়ছেন তাই বিট কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন হোসেন তার বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আমি জেনেছি।
Leave a Reply