মেট্রোরেলের চতুর্থ স্টেশন হিসেবে শনিবার সকাল ৮টা থেকে উন্মুক্ত হয়েছে ‘উত্তরা সেন্টার’ স্টেশন। এদিন সকাসে স্টেশনটিতে যাত্রীদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।
মেট্রোরেলের উপ-প্রকল্প ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান বলেন, উত্তরা সেন্টার স্টেশনটি আজকে চতুর্থ স্টেশন হিসেবে চালু করা হয়েছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় ধীরে ধীরে সব স্টেশন খুলে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে শনিবার উত্তরা সেন্টার স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উত্তরা সেন্টার স্টেশন এলাকায় মানুষের বসবাস কম থাকায় দর্শনার্থী ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের আনাগোনা ছিল কম।
উত্তরা আজমপুর থেকে আসা মেট্রোরেলের এক যাত্রী বলেন, এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করি। কিন্তু বাস বা অন্য গণপরিবহন ব্যবস্থা ভালো ছিল না। মেট্রোরেল হওয়ায় যাতায়াতে সুবিধা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যেটা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে। ২৮ ডিসেম্বর এ পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বোমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
Leave a Reply