আজ হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখ, সোমবার দিনগত রাত পবিত্র শবে মেরাজ। ফারসি শব শব্দের অর্থ রাত ও আরবি মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন। মহিমান্বিত এ রাতে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালার হুকুমে আল্লাহর প্রিয় নবী ও রসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত ঊর্ধ্বলোক গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ সময় তিনি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন।
এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। মুসলিম বিশ্ব অলৌকিক ও ঐতিহাসিক এ ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে প্রতিবছর ২৬ রজবের দিবাগত রাতটিকে শবে মেরাজ হিসেবে পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।
নবুয়ত লাভের ১১তম বছর (৬২১ খ্রিস্টাব্দ) হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ সময় তিনি তাঁর কঠিন সময়ের দুজন প্রিয় ব্যক্তি স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও চাচা আবু তালেবকে হারিয়েছেন। এছাড়া ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকেও আশাহত হয়ে ফেরেন। এরপর মহান আল্লাহ ইসরা ও মেরাজের মাধ্যমে প্রিয় রাসুলকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন। সেদিন রাতে মহানবী (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামক বিশেষ বাহনে করে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান। সেখানে নবী-রাসুলদের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে তিনি সাত আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন নবীর দেখা হয়। সিদরাতুল মুনতাহার আগ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.)।
Leave a Reply