টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ’ মুহূর্তের ভিডিও-ছবি প্রবাসী স্বামী দেখে ফেলায় আত্মহত্যা করেছেন নুরুন্নাহার নামে এক গৃহবধূ।
শনিবার সকালে উপজেলা পৌরসভার ঘাটান্দি গ্রামের গণেশ মোড় এলাকার একটি বাসা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নুরুন্নাহার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর পৌলী গ্রামের বাসিন্দা ও একই এলাকার এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, ওই প্রবাসী তার মামাতো বোন নুরুন্নাহারকে বিয়ে করেন। তাদের ১১ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে স্ত্রী নুরুন্নাহার স্বামীর বাড়িতে না থেকে ভূঞাপুরে ভাড়া বাসা নিয়ে সন্তান নিয়ে থাকতেন। সেখানেই তার ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। গত ১৬ জানুয়ারি তার স্বামী মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। এরপর তার শ্যালিকার স্বামী জহুরুলের মাধ্যমে জানতে তিনি পারেন, ঘাটাইল উপজেলার রুপের বয়ড়া গ্রামের মাসুদের সঙ্গে তার স্ত্রী পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। পরে বিষয়টি তিনি তার স্ত্রীকে জানালে তিনি কোনো জবাব দেননি।
এরই জেরে শুক্রবার রাতে ওই প্রবাসীকে নির্জন জায়গায় ডেকে নেন স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ ও ভায়রা জহুরুল। এরপর স্ত্রীর সামনে তাকে মারধর করেন। পরে তাকে এলাকায় না থাকার শর্তে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি স্ত্রীর ভাই মনিরুজ্জামানকে জানান ওই প্রবাসী। এ ঘটনার জেরে শনিবার সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নুরুন্নাহার।
নুরুন্নাহারের প্রবাসী স্বামী বলেন, বিদেশ থেকে ফিরেই ভায়রা জহুরুলের মাধ্যমে জানতে পারি স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত। পরে জহুরুল আমার স্ত্রী ও মাসুদের গভীর সর্ম্পকের ছবি ও ভিডিও দেখায়। জহুরুল আমার কাছে টাকা দাবি করে। বিষয়টি স্ত্রীকে জানালে সে কোনো জবাব দেয়নি। এরপর শুক্রবার রাতে মাসুদ ও জহুরুল মিলে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে আমাকে মারধর করে। সেখানে আমার স্ত্রীও উপস্থিত ছিল। পরে তাদের বিভিন্ন শর্তে রাজি হয়ে ভূঞাপুর থেকে পালিয়ে যাই। এরপর স্ত্রীর ভাইকে ফোনে বিস্তারিত বললে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়।
ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply