রুদ্র রুহান,
বরগুনা প্রতিনিধি,
স্বতন্ত্র প্রার্থীদেন ঠাঙ ভেঙে হুমকি দেয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মঞ্চ থেকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে ছেড়েছেন ইওএনও। শনিবার দুপুরে বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই সভায় বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্ধী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও তুম্পা জানান, আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার জন্য আমাদের কাছ থেকে কোন রকমের অনুমতি নেয়া হয়নি। সেখানে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অমিত দত্তকে নিয়োজিত করা হয়েছিল। সভায় কড়াইবড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধাররণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বারেক মাঝি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে আচরণ বিধি লঙ্ঘন হওয়ায় আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি তার ভুল স্বীকার করেছেন এবং তার পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী উল কবির জমাদ্দার ও দুঃখ প্রকাশ করায় আমরা প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছি।
উপজেলার করাইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মাঝি বলেন, বক্তব্যে আমি বলেছিলাম আমরা তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত এবং একপর্যায়ে আমি বলেছি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠ্যাং পিটিয়ে ভেঙে দেয়া হবে। এ বক্তব্যটি আমার ঠিক হয়নি। আমাকে ডেকে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমি তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করি। পরে তিনি সতর্ক করে আমাকে ছেড়ে দেন।
তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজবীউল কোভিদ জমাদ্দার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তিনি বলেন, কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বারেক মাঝিকে মঞ্চ থেকে ডেকে নিয়েছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্ত। বারেক মাঝি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আমিও বারেক মাঝির পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করায় ছেড়ে দেয়া হয়। রেজবী উল কবির বলেন, এটি আমাদের দলীয় সভা ছিল এবং আমার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভাটি কোন পাবলিক প্লেসে বা মাইক ব্যবহার করে করা হয়নি। আচরণ বিধি লঙ্খন এর বিষয়টি কিভাবে ঘটলো জানা নেই।
Leave a Reply