জয়পুরহাট প্রতিনিধি,
জয়পুরহাটের নতুনহাটের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার পরিদর্শন করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তারা বাজারে গিয়ে দেখেন, ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে এক লাফে দাম কমিয়ে ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। এতে ওই সময় বাজারে থাকা ক্রেতারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
জানা যায়, ভারত থেকে পেঁয়াজে আমদানি বন্ধের খবর প্রচারিত হওয়ায় সারা দেশের ন্যায় জয়পুরহাটেও এক লাফে ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। ২০০- ২২০ টাকা কেজিতে দেশি এবং ১৫০-১৮০ টাকা দরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়। সদ্য তোলা পাতা পেঁয়াজও ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশে আজ সোমবার নতুনহাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখেই ব্যবসায়ীরা ২০০ টাকার পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেন। কেজিতে ৮০ টাকা কমে আসে। পাতা পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজিতে কমে তা বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজিতে।
জয়পুরহাট পূর্ব সরদার পাড়ার শাহিন নামের একজন বাজার করে ফেরার পথে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট বাজারে না এলে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা লাগতো। এখন আধা কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকায় কিনতে পারলাম। এ সময় পেঁয়াজ কিনতে দোকানে ভিড় জমে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে বাজারে কারসাজি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজিতে ৮০-১০০ টাকা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভারত থেকে আগেই আমদানিকৃত প্রচুর পেঁয়াজ আছে ব্যবসায়ীদের কাছে। সে পেঁয়াজের দাম তো বাড়ার কথা নয়।
এ সময় তিনি এক ব্যবসায়ীর এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। তিনি আরও জানান, ডিসি স্যারের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply