বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি,
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করেছে সরকার। তবে হাসপাতালে উন্নত খাবার দেওয়ার আড়ালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের যোগসাজসে লোপাট করা হচ্ছে সরকারি অর্থ। হাসপাতালে ১৮জন প্রকৃত রোগী ভর্তি থাকলেও ৫০ জন রোগীর তালিকা করে সরকারি এই বিশেষ দিনে ৩২ জন রোগীর খাবারের টাকা লোপাট করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অভিযোগ উঠেছে বরগুনার বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ ও খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
শনিবার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে খাবারের সময় মাত্র ১৮ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীরা দুপুরের খাবার গ্রহন করেছেন। তবে সেবিকা কক্ষ থেকে জানাগেছে, মহান বিজয় দিবসের দিনে ৫০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের সকলকে উন্নত খাবার দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করারশর্তে কর্তব্যরত একজন সেবিকা জানান, ৫০ জন রোগীর জন্য খাবার তৈরী করা হয়েছে তবে অনেক রোগী খাবার বিতরণ সময়ে বাইরে ছিলেন এজন্য রোগী কম মনে হয়েছে। তারা আবার ফিরে এসে তাদের বরাদ্দের খাবার নিয়ে যাবেন। অনেক সময় রোগীরা ভর্তি হয়ে বাড়ি চলে যান তারা পরে এসে খাবার নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, বামনা হাসপাতালে ৫০জন রোগীর জন্য পোলাও, রোষ্ট, ডিম,ডাল সালাদ তৈরী করা হয়েছিলো।
এব্যপারে জানতে খাবার সরবরাহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্মরত মো. তুহিন আকন জানান, আমাকে হাসপাতাল থেকে যে রোগীর তালিকা দেওয়া হয়েছে আমি সে মোতাবেক খাবার তৈরী করেছি।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মাহাদি বিন ওমর জানান, কিছু রোগী ইনজেকশন বা এন্টিবায়েটিক নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাহলে ভর্তি রোগীরা খাবার পাবে। তবে ৩২জন রোগী ভর্তি হওয়ার কথা নয়। আমি নার্সিং সুপারভাইজারের কাছে জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমি আজকের ডায়েটএর বিষয় কিছু জানিনা। আপনি আরএমওকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জেনে নিন।
এব্যপারে বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হক এর নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply