বরগুনার পাথরঘাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোনরকম অবহিত করা ছাড়াই
দুই দিন ব্যাপি বন্ধকরে দেওয়ায় চরমভাবে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হয়েছে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার।
অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে
২২ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার ও ২৩ শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র ও সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী
অংশ গ্রহণকারি পাথরঘাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আকস্মিক বন্ধ থাকায় চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উক্ত বিদ্যালয়ের ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
জানতে চাইলে পৌরসভার বাসীন্দা তৃতীয় শ্রেনির আফনানের মাতা মোসা.পারভীন, ২য় শ্রেণির ধুব্র এর পিতা সুশীল শিকদার,
১ ম শ্রেণির মো. রিফাতের মাতা মোসা. জয়নব, দ্বিতীয় শ্রেনির মো. মুসাদ্দেকের মাতা মোসাঃ ফাতিমা বেগম, ১ম শ্রেণির মুছার মাতা মোসাঃ মাসুরা পলি, তৃতীয় শ্রেণির জান্নাতি তারিনের মাতা মোসা. কলি, ৫ ম শ্রেণির মোসা. মরিয়মের মাতা মোসা. হাফিজা বেগম, ৫ ম শ্রেণির ঘানিউলহকের পিতা মো. পলাশসহ অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনরকম নোটিশ বা অবহিত করা ছাড়াই আকস্মিক ভাবে
২২ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার ও ২৩ শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ায় অামরা চরমভাবে ভোগান্তী সহ হয়রানি এবং অার্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন প্রতিদিনেরমত আমরা আমাদের সন্তানদেরকে কেউ রিক্সাযোগে কেউ পায়ে হেটে এভাবে যে যেরকম পারছি বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা দেখে আবার ফিরে এসেছি।
জানা গেছে যেসকল অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে যাননি তারা পরছেন আরো বেশি সমস্যায়।
তাদের সন্তারা বিদ্যালয়ে তালাবদ্দ দেখে খেয়ালখুশি মত বিভিন্ন যায়গায় আড্ডায় মেতে ওঠেছিল। যার ফলে
ওই সকল শিশুদেরকে বাসায় ফিরিয়ে আনতে অভিভাবকদের ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
অভিভাবকরা বলে বিদ্যালয় সৃষ্টির শুরু থেকে কোন বছর ক্রিড়া বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কারনে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল,শুধু এবছরই সম্পুর্ন খেয়ালখুশিমত বিদ্যালয়দ দুইদিন বিদ্যালয় বন্ধছিল।
তারা অনেকেই উক্ত বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের পড়াবেননা বলে জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বরগুনা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন আমি এখন একটু ব্যাস্ত আছি পরে আপনি ফোন দিয়েন।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টিএম শাহ আলম বলেন ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষির্থীরা অংশ গ্রহন করার কারনে পাঠদান বন্ধছিল।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ক্লাস্টার রনজীৎ চন্দ্র মিস্ত্রী বলেন বিষয়টি আমার জানাছিলনা তাই জেনে ব্যবস্থা নিব।
উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোসা. জাহান আফরোজ খাদিজা বলেন আমরা ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার কারনে বিদ্যালয় বন্ধছিল তবুও বিষয়টি বিষয়টি অনাকাঙ্খিত।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি
এড. আব্দুর রহমান জুয়েল বলেন বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত নই।
তিনি বলেন বিষয়টির ব্যাপারে আমি খোজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।
Leave a Reply