এ প্রজন্মের অন্যতম দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ছোটপর্দার ভীষণ জনপ্রিয় এ তারকা অভিষিক্ত হয়েছেন বড়পর্দায়। অতনু ঘোষ পরিচালিত ‘আরো এক পৃথিবী’ ছবির মাধ্যমে নামের আগে জুটেছে নতুন বিশেষণ। কলকাতায় মুক্তি পাওয়া এ ছবি তাকে দিয়েছে অনন্য অভিজ্ঞতা। ওয়েব প্ল্যাটফর্মেও ফারিণের অবস্থান সুদৃঢ়।
তাসনিয়া ফারিণ জানান: নিঃসন্দেহে আমার ক্যারিয়ারের মাইলফলক অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’। দর্শকের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর আকাঙ্ক্ষা থাকে এমন একটি কাজের। এ কাজটি আমার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আগামীতে নতুন ছবিতে কাজ করা সহজ হবে। ছবিটি এখনও চলছে। যখন ছবিটি হল থেকে নেমে যাবে, তখন হয়তো কোনো একটি ওটিটিতে আসবে। তারপর বাংলাদেশের দর্শক দেখার সুযোগ পাবে। আসলে প্রথম ছবি মুক্তি সুখকর সবসময়। বাংলাদেশে হলেও তাই হতো। তবে, প্রথম ছবি কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে বলে হয়তো ভালো লাগাটা একটু বেশি। কলকাতা আমাকে আপন করে নিয়েছে। প্রথম ছবি মুক্তির এ অভিজ্ঞতা আমার মনে থাকবে চিরকাল।
সম্প্রতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলম্যান’– এর জন্য সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া
তাসনিয়া ফারিণ বলেন:‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ আমার ক্যারিয়ারের মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। এর আগে অনেক কাজ করেছিলাম। নতুনদের ক্যারিয়ার অন্য উচ্চতায় নিতে একটি ভালো কাজ লাগে। যাতে করে তার পটেনশিয়াল অন্যরা বুঝতে পারে। তাকে বিভিন্ন চরিত্রে ভাবার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আমার জন্য এরকম একটি কাজ ‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলম্যান’। এ কাজটি একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে কী করতে পারি সে ধারণা দিয়েছে।
যখন কলকাতায় গেলাম তখন দেখেছি ‘কারাগার’– এর জনপ্রিয়তা। ‘আরও এক পৃথিবী’ মুক্তির আগে কলকাতার দর্শক ‘কারাগার’ দেখেছে। যা খুবই ভালো দিক ছিলো। চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এটি আমার প্রথম কাজ। ওখানে তো তার জনপ্রিয়তা অনেক। আমার মতে এটি ইন্ডাস্ট্রির ভালো দিক। আমাদের শিল্পীরা ওখানে কাজ করতে পারছে। দর্শক মনে রাখছে।
দীর্ঘদিন নাটকে দেখা যাচ্ছে না তাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শকের আক্ষেপ চোখে পড়ে। ভ্যালেন্টাইন ডে’র নাটকে ছিলেন না তিনি কারন,
‘আরো এক পৃথিবী’র প্রচারণার জন্য কলকাতায় ছিলেন। সঙ্গত কারণেই অন্য কাজের সময় ছিলো না। তাছাড়া কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়।
সবশেষে জানাযায় গান নিয়েও আসতে পারে তাসনিয়া ফারিণ
Leave a Reply