হাফিজুর রহমান
তালতলী (প্রতিনিধি) বরগুনা,
তালতলী হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন বোর ধান কিন্তু ফলন ভালো হলেও কৃষকদের মুখে নেই হাসি। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তালতলীর কৃষকরা। তারা কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ ও লোকসানের আশঙ্কা করছেন। উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা ধানের বাজারমূল্যে হতাশ।
তালতলী উপজেলার বতিপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আবু কালাম ধান বিক্রি করতে এসে বলেন, আমাদের বোর ক্ষেতে সেচ দিতে হয়েছে। বোর চাষে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এ অবস্থায় বাজারে ধানের দাম কম থাকায় ঠিকমতো উৎপাদন খরচই উঠছে না।
তিনি প্রথম প্রহর ডটকমকে বলেন, ধানের বাজার ঘুরে দেখলাম- জেলা উপজেলার বড় ধানের হাটে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৭ ধান ৯৫০টাকা ৪০কেজির মন
২৮ ধান ৯০০ টাকা, হাইব্রিড ধান ৮৪০টাকা
করমজাপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, তিনি হাইব্রিড টিয়া ২৮. ৬৭.৭৪ ধানের বম্পা ফলন পেয়েছেন। একরে ৭০ মন। ফলনে খুশি হলেও বাজারমূল্যে খুশি হতে পারছেন না। সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিতে অনেক খরচ বারছে। উচ্চমূল্যে সার কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ ও শ্রমিক মূল্য বৃদ্ধিতে এদামে ধান বিক্রি করে লোকসানের মুখ দেখছেন কৃষক।
লাউপাড়া গ্রামের কৃষক সুমন বিশ্বাস জানান, ধান বিক্রি করার পাইকার পাইনা বাকিতে বিক্রি করতে হয় দামটাও ভালো না, ধান কাটতেও বারতি খরচ জানিনা কপালে কি আছে আমাদের।
তালতলী উপজেলা সদরের ধানক্রেতা জসিম উদ্দিন দৈনিক প্রথম প্রহর ডটকমকে জানান, মিল মালিকরা এখনও ঠিকমতো ধান কেনা শুরু না করায় দাম কিছুটা কম। পুরোপুরি কেনা শুরু করলে হয়তো দাম বাড়বে।
তালতলী উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর ইলিয়াস দৈনিক প্রথম প্রহর ডটকমকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। ধানের ফলন ও ভালোই। নতুন ধান কাটা মূহুর্তে দাম কিছুটা কম হলেও তা বাড়বে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে।
Leave a Reply